February 25, 2021, 1:33 am
রাজু চৌধুরী বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার মোংলা থানা ও অন্যান্য শীতের পাখির অভয়ারন্যে শীতের শুরুতেই পাখি শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শীত বেড়ে যাবার সাথে সাথেই দেদারসে চলছে অতিথি পাখি নিধন।
মৌসুমী শিকারীদের সাথে সৌখিন শিকারীদের হাত থেকেও রেহাই পাচ্ছে না অতিথি পাখি সাথে দেশীয় প্রজাতির পাখিরাও। সরকারি নির্দেশনা মোতায়ন পাখি শিকার নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবতার খাতায় তার যেন কোনো বালাই নেই। জেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রাম – এলাকায় এই পাখি শিকারীদের দেখা পাওয়া যায়। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এরা বিল – ঝিল, বনে-বাদাড়ে পাখির অভয়ারণ্য গুলোতে দাপিয়ে বেড়ায়।
এদের হিংস্র লোলুপ থাবায় প্রকৃতির অপার সুন্দরবন পাখিকুল বিলুপ্তি হতে চলছে।জেলার বিভিন্ন এলাকায় সৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারীদের বন্দুক, বিষ টোপ,জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করছে। এতে করে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণও বাড়ছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৌখিন শিকারীদের সাথে পাল্লা দিয়ে শিকার চালায় মৌসুমী শিকারীরা।বিষটোপ, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, এয়ারগানের সমঞ্চয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলে পরিবেশ বান্ধব এবং শীতের তীব্রতায় ছুটে আসা পাখ-পাখালির।
অবাধ শিকারের সাথে চলে দেদারসে বিক্রয়। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন পেশাদার শিকারী বলেন, বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে পাখির। তাই কোনো মতে ধরতে পারলেই তা বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। এ প্রসঙ্গে প্রকৃতি প্রেমীরা বলছেন, পাখি শিকার জীববৈচিত্র্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং দন্ডনীয় অপরাধ। শুধু পাখি নয় বন্য প্রাণী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি যে যার অবস্থানে থেকে ভুমিকা রাখতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্মকে শুধু মাত্র কাগজে কলমে বন্য প্রাণীর নাম জানতে হতে পারে।