January 18, 2021, 7:24 pm
মেহেদী হাসান : দ: বেতিয়ারা গ্রামের মো: আলী আস্বাদ এর দুই মেয়ে সীমা ও রিমা ০৫/০৭/২০২০ইং রোজ রবিবার বিকেল ৪ঘটিকার সময় চিওড়া সফিক হুজুরের কাছে পানি পড়া আনতে যায় । এর পর সন্ধা প্রায় ৭টা: ৩০ মি: সময় আসার পথে কান্দিরপাড় থেকে একটি উওপেতে থাকা সি, এন, জি করে ৩০টাকা ভাড়া দর করে চিওড়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত আসে। এরপর ঐ সি, এন জি ড্রাইভারকে তারা সিমা ও রিমা জিগ্গেস করে গাংরা যাবেন কিনা!এরপর থেকেই শুরু হয় আসল ঘটনা। গাংরা যাবার ভাড়া দর হয় ১৫০ টাকা।
গাড়িতে উঠে বসলে ড্রাইভার তাদের নিকট ঐ আগের ৩০ টাকা ফেরত দেয় আর অগ্রিম ১৫০ টাকা চাইলো। ঐ ৩০ টাকা হাতে নেওয়ার পর থেকে দুই বোন সীমা ও রিমা গাড়িতে বসার পর থেকে আস্তে আস্তে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এর পর ১৫০ টাকা ভাড়া ড্রাইভার অগ্রিম নিয়ে নেয়। এর পর দুই বোন জিগ্গেস করে অগ্রিম টাকা নিলেন কেন? পরে ড্রাইভার বলে পরে তো আমি ভাড়া নেওয়ার সময় পাবো না এই বলে গাড়ি মেইন হাইওয়ে রোডে উঠে গাড়ির স্পিড বাড়ায়। ড্রাইভার একটি কল করে বলে তোরা দুইজন আয় দুইজন নিয়ে আসতেছি।
এ কথা বলার পর রিমা ড্রাইভারকে জিগ্গেস করতেছে আপনি কাকে কল দিচ্ছেন আমরা তো গাড়ি রিজার্ভ নিয়েছি। এরপর ড্রাইভার প্রতি উওরে তাদের রাগান্বিত ভাষায় বলে জাহান্নামের চৌ-রাস্তায় কল দিয়েছি। একপর্যায়ে সিমার মাথা গরম হয়ে যায়, সে বলছে আপনার গাড়ির নাম্বার দেন, এরপর দুই বোন অনেক চেঁচামিছি করতে থাকে। একপর্যায়ে গাড়ি একটু স্লো করলে অচেনা দুইটি যুবক (২০-২২ বছরের) সি এন জির সামনের সিটে বসে ঐ দুই বোনকে পিস্তল এর ভয় দেখিয়ে বলে যা আছে সব দিয়ে দে। এই বলে তর্কশুরু হয় ২পক্ষের সাথে একপর্যায়ে সীমা (২৯) কে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর নিকটস্থ জগন্নাথ দিঘীরপাড়ে একটি খাবারের হোটেলে রাখে। অন্যদিকে বোন রিমা (২৫) কে প্রায় ১৫০ গজ দূরে সি এন জি থেকে ফেলেদেয় এরপর পিছন থেকে আসা লরিয়ের নীচে চাপা পড়ে শেষ নিস্বাস ত্যাগ করেন। পরে সীমাকে ঐখান থেকে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে নেয়। সীমার কিছু জ্ঞান ফিরলে সে জানতে পারে তার বোন রিমা আর জীবিত নেই। এদিকে তার বাবা আলী আস্বাদ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন তার মেয়ের হত্যাকারীর যেনো সাজা হয় এ বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
অন্যদিকে রিমার স্বামী সৌদি প্রবাসী মো: সুমন সৌদি থেকে পাগলের মত হয়ে ছুটে আসেন তার স্ত্রী হত্যার সুস্থ বিচারের দাবী করেন। তার দুটি মেয়ে বড় মেয়ে উম্মে হাফসা মাইশা (০৫), ছোট মেয়ে উম্মে বাপ্পিয়া, (০৩) । এই ঘটনার মুলহোতা ড্রাইভার আঃ করিম ওরপে মিন্টু (৩৮-৪০), গ্রাম গোস্তল মিস্ত্রি বাড়ী, চিওড়া ইউনিয়ন। বর্তমানে সে চৌদ্দগ্রাম থানা হেফাজতে আছে। এ ঘঠনার রহস্য উদঘাটন এর ব্যবস্থা নিচ্ছে চৌদ্দগ্রাম থানা। জানামতে একটি মামলাও হয়েছে। এ ঘঠনার সুস্থ তদন্তকরে সুস্থ বিচারের দাবী করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন দরে এ রাস্তায় চিওড়া থেকে চিলপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত অনেক ঘটনা প্রায় ঘটে চলেছে যাত্রীদের সাথে। টাকা গহনা সহ অনেক ছিন্তাই এর ঘঠনা শুনা যাচ্ছে।