February 25, 2021, 2:17 am
সাইফুল ইসলাম:মোংলা টু খুলনা রোডের প্রায় ১১ কিলোমিটার পুরো রাস্তা জুরে রয়েছে অগনিত গর্ত আর খালের সারি। পুরো রাস্তা জুরেই রয়েছে যেনো যাএীদের মৃত্যুর ফাদ।
এই রাস্তা টি সারা বছরই মোংলা বন্দর থেকে দিগরাজ বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে। বন্দর এলাকা মোংলায় অসংখ্য বানিজ্যিক কোম্পানি এলপিজি কোম্পানি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি।
এছাড়া মোংলা বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মিল কারখানা। এসকল কোম্পানির সকল মালামাল সরবরাহ কাজে ব্যবহার হয় এই সড়কটি। প্রতি বছর বেশ কয়েকবার এই রাস্তটি সংস্কারের কাজ করা হলেও, কোন স্থায়ী সমাধান হয়নি। বর্ষার মৌসুমে রাস্তার ৮০% ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় এই রাস্তা টি । এসময় রাস্তায় বড় ধরনের খানাখন্দকের সৃষ্টি হয় যার ফলে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা। মোংলা বাস স্ট্যান্ড থেকে গোনা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় জনজীবন অতিষ্ঠ। হাটু পযর্ন্ত কাদা থাকে এই রাস্তাটিতে।
এখন বর্ষার মৌসুমে আরও ভয়াবহ আকার ধারন করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে চরোমে। অন্যদিকে দিগরাজ বাজার মাছ ও সবজি ক্রয়- বিক্রির জন্য যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়েই।
এছাড়া বন্দর এলাকায় অবস্থিত দুটি স্কুলে প্রতিদিন শত-শত শিক্ষার্থীরা এই রাস্তাটি দিয়ে আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে বৃষ্টির দরুন কাদামাটি ভয়াবহ আকার ধারন করায় রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি সাময়িক ভাবে সংস্কার করা হলেও তা কোন কাজে আসেনি।
কিন্তুু এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি এখন পর্যন্ত কোনো ভালো সংস্কারের মূখ দেখেনি ।শুধু দায় সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এর ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হছেচ। স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছেন। প্রশাসনকে অবগত করলে তারা শুধু আশা দিয়ে যাচ্ছেন ।জনগন আসায় থাকলো কবে রক্ষা পাবে এই মরন ফাঁদ রাস্তা থেকে।