March 7, 2021, 11:16 pm
হাফিজ আর. হিরা: বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও দীর্ঘতম নৌরুট বরগুনা। রাজধানী নদী বন্দরের সাথে সুদুর বরগুনার নদীপথে চলাচলকারী নৌযানের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো ও আধুনিক, বিলাশবহুল নৌযান সার্ভিসভুক্ত করার তাগিদে কিছুদিন আগেও মানববন্ধনে সামিল হয় নৌরুটে চলাচলকারী অবহেলিত বরগুনা বাসী। হয়ত সেই মানববন্ধনের সফলতা আগামী এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফলাফল পেতে যাচ্ছে বরগুনাবাসী। আর সেই ফলাফলের স্টার মার্কস এম.ভি রাজারহাট-বি।
এম.ভি রাজারহাট-বি মাঝারী গঠনের এই নৌযানটিই ঢাকা-বরগুনা নৌরুটের ইতিহাসের সর্বাধীক আধুনিক, বিলাশবহুল ও রুচিশীল একটি নৌযান এটি বলা অপেক্ষা রাখেনা। আর কেনই বা সেটি বলার অপেক্ষা রাখেনা সেটি হয়ত উক্ত পোস্টের আলোকচিত্র গুলোই তাহার সাক্ষী। বর্তমান যুগোপযোগী আধুনিক ডেক সুবিধা, দ্রুতগতির ইঞ্জিন, স্যাডো ও এল ই ডি বাতির সংযোজনে সাজানো ইন্টেরিয়র সাজসজ্জা। সুসজ্জিত প্রতিটি সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিনের রুচিসম্মত কারুকাজ। শীততাপ নিয়ন্ত্রীত ৬ টি এটাস্ট বাথ ফ্যামিলি কেবিন, ও ২টি নয়নাভিরাম আধুনিকতার রুচিসম্মত ভি আই পি কেবিনের সাজসজ্জার মাধুর্যতা যা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। সেই সাথে রয়েছে ৩য় তলার রিভার ভিউ ক্যাফে যা আপনার যাত্রায় যুক্ত করবে বিনোদনের নতুন ভুবন। সাথে রিভার সাইডের ভিতর পাশের কেবিন বিন্যাস ও পুরো কেবিন বিন্যাস প্যানেলের রুচিশীল কাঠের সুনিপুণ কারুকাজ আপনার ভাবনায় তৈরী করে দিবে ভ্রমনের চিন্তা ধারার নতুন রশদ।
উপরোক্ত বর্ণনার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামধারী এম ভি রাজারহাট-বি প্রতিটি স্তরের সাজানো রুচিশীল চাকচিক্যতা ও আধুনিকতার মোড়কে তুলেধরা বিলাশবহুল মাত্রা গুলো নদীপথে চলাচলকারী অবহেলিত বরগুনাবাসীর সপ্ন বিলাশের পূর্ণতার রশদ পরিপূর্ণ করার লক্ষেই যেন তৈরী হওয়া একটি নৌযান। যা পুলকিত করবে ঢাকা-বরগুনা নৌরুট সহ পুরো নৌযান সেক্টরের সৌন্দর্য। আগামী ২৪ জুলাই সুদুর বরগুনার নদীপথে আধুনিকতার পতাকা উড়িয়ে অবয়রে ঢেউ মাড়িয়ে এগিয়ে চলবে নৌযানটি সুদুর বরগুনার সমান্তরাল নদীপথে।