April 17, 2021, 12:21 am
ইলিয়াস হাওলাদার: সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে যারা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজে যায় ছয়মাস পর তেমন একটা কাজ থাকেনা, তখনই শ্রমিকদের মধ্যে হতাশায় পড়ে যায়। আর এই শ্রমিকদের টার্গেট করে মানব পাচারকারী দালাল চক্র, শ্রমিকদের থাকার ক্যাম্পে এসে সম্পর্ক গড়ে মানব পাচারকারী দালাল চক্র। একই কোম্পানিতে থাকা কিছু অসাধু সুপারভাইজারের সাথে হাত মিলিয়ে বলবে তোমাকে অন্য সাইটে নিয়ে যাবো আবার কাউকে ইউরোপের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড় জঙ্গল ও স্পিডবোটে করে নিয়ে যাবে ইরান। সেখানে নিয়েই শুরু হয় মুক্তিপণের টাকার অমানুষিক নির্যাতন।
ইরানের দালালদের গডফাদার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শ্যামলী পাড়ার হাজী লাল মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া ( ইরানে তার নাম শেখ ফরিদ) ফরিদ মিয়া যে কোনভাবে ইরানে লোক নিতে পারলেই হলো। দুবাই ওমানে থাকা বন্ধুদেরকে কল দিবে ইরান থেকে কিন্তু নাম্বার উঠবে গ্রিসের ওটাকে বলে ডাবল লাইন, কল দিয়ে বলতে বলবে আমি গ্রিস চলে আসছি তুমি আসতে চাইলে তাদের লোকের সাথে যোগাযোগ করতে। মার খাওয়ার ভয়ে অনেকেই এভাবে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরকেও একই পথে নিয়ে যায় ইরান।
তারপর দিনে চার থেকে পাঁচবার মারধর করে টাকার জন্য। পরিবারের নাম্বার দিয়ে দেয় ফরিদ মিয়ার আপন ভাতিজা সিলেট পলিটেকনিক এর সাবেক ছাত্র আসাদুজ্জামানকে, এই আসাদুজ্জামান নিজের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে জন প্রতি ছয় থেকে দশ লাখ টাকা করে নিত। সন্তানকে বাঁচানোর জন্য বাবা মা দিশেহারা হয়ে ঘর বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিছে আসাদুজ্জামানকে। টাকা দিলেও মিলতো না মুক্তি কয়েক ঘরে বিক্রি করতো এই ফরিদ মিয়া। দেশে এসে সমস্ত ডকুমেন্ট থাকা সত্ত্বেও মামলা করতে পারিনায় ভিকটিম ও দালালদের বাড়ি আলাদা জেলায় হওয়ার কারণে।