March 8, 2021, 2:40 pm
অনলাইন ডেস্ক: আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদ বললেন, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী। আমার বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একমাত্র আমিই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেই। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’ আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে রিমান্ড শুনানির মাঝখানে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনার পর সাহেদ দাবি করেন তার বুকে ব্যথ্যা হচ্ছে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তার এক্সরে ও ইসিজি করা হয়। চিকিৎসক ও র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সব রিপোর্ট ভালো এসেছে, কোনও সমস্যা নেই।
এদিকে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করেন তার কিছু বলার আছে কিনা। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদ নিজেকে করোনা রোগী দাবি করে এসব কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় সাহেদকে। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসএম গাফ্ফারুল আলম রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলার আরেক আসামি তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন একই তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।