ঘটনাটি গত শনিবারের হলেও বুধবার পুলিশের কাছে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন।
এসআই সামিউল বলেন, “বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক পরিবারের তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি বুধবার। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে যাই। শনিবার ঘটনার দিন কেউ বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। কেন জানায়নি তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।“প্রাথমিক তদন্তে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়টি জানা গেছে। তবে অধিকতর তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
নিহতরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চণ্ডীপাশা গ্রামের আবুল কাশেম (২৮), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) ও ছয় বছরের মাদ্রাসা ছেলে আল-আমিন।
কাশেম স্থানীয় কন্টিনেন্টাল নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর ফাতেমা একই এলাকার সাউদার্ন নামে অপর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
কাশেমের মামা আজিজুল ইসলাম বলেন, “কাশেমসহ তার পুরো পরিবার অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছুটে আসি আমি। ততক্ষণে তাদের একটি অটোরিকশায় তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাশেমের শিশু সন্তান আল-আমিন মারা যায়।
“এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয় চিন্তা করে অগ্নিদগ্ধ কাশেম ও তার স্ত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করাই আমরা। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে ভাগিনা কাশেমের মৃত্যু হয়। পরে ফাতেমার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।”
ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিসও জানে না।
সাভার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর তাদের জানা নেই। কেউ কিছু বলেনি।
ওই বাড়ির প্রতিবেশী অটোরিকশাচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “মাস তিনেক আগে আবুল কাশেম ওই বাসাটি ভাড়া নেন। শনিবার ভোরে বিকট শব্দে তাদের বাসাসহ চারপাশ কেঁপে উঠে আগুন ধরে যায়। আশপাশের লোকজন গিয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা।”
ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক শহীদ মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে এসআই সামিউল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখনও মামলা হয়নি। নিহতদের স্বজনরা বুধবার মামলা করার জন্য এসেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষে বাড়ির মালিক শহীদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।