March 8, 2021, 3:31 pm
সারা দিন মুখ দিয়ে লালা পড়ে ১৮ বছর বয়সী মিমের। থাকেন কল্যাণপুর বস্তিতে। মিম কথা বলতে পারেন না, খেতেও পারেন না নিজের হাতে। জন্মের পাঁচ মাসের মধ্যে শনাক্ত হয় তাঁর শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা। সেই থেকে সরকারি চিকিৎসা আর পারিবারিক যত্নে কোনোক্রমে টিকে ছিলেন মিম। করোনা আসায় তাঁর দরিদ্র পরিবারে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ‘মিমের চিকিৎসার টাকা কোথা থেকে আসবে?
করোনায় প্রতিবন্ধী মানুষেরা এমনিতেই নানান অসুবিধায় ছিলেন, চিকিৎসার অপ্রাপ্তি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অপারগতা, গৃহবন্দী থাকার সমস্যার পাশাপাশি নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোয় যুক্ত হয়েছে আর্থিক সংকট। যার প্রভাব পড়েছে এসব পরিবারের প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর চিকিৎসায়।
সারা দিন মুখ দিয়ে লালা পড়ে ১৮ বছর বয়সী মিমের। থাকেন কল্যাণপুর বস্তিতে। মিম কথা বলতে পারেন না, খেতেও পারেন না নিজের হাতে। জন্মের পাঁচ মাসের মধ্যে শনাক্ত হয় তাঁর শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা। সেই থেকে সরকারি চিকিৎসা আর পারিবারিক যত্নে কোনোক্রমে টিকে ছিলেন মিম। করোনা আসায় তাঁর দরিদ্র পরিবারে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ‘মিমের চিকিৎসার টাকা কোথা থেকে আসবে?’
করোনায় প্রতিবন্ধী মানুষেরা এমনিতেই নানান অসুবিধায় ছিলেন, চিকিৎসার অপ্রাপ্তি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অপারগতা, গৃহবন্দী থাকার সমস্যার পাশাপাশি নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোয় যুক্ত হয়েছে আর্থিক সংকট। যার প্রভাব পড়েছে এসব পরিবারের প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর চিকিৎসায়।
মা জ্যোৎস্নার সঙ্গে মিম। করোনা জীবিকা হারানোয় জ্যোৎস্না চালাতে পারছেন না মিমের চিকিৎসা। ৭ জুলাই, ঢাকা। ছবি: মাকসুদা আজীজকল্যাণপুর বস্তির ঘিঞ্জি পরিবেশে ১০ বাই ১০ ফুটের ছোট্ট একটা ঘরে বাস করে মিমের ছয় সদস্যের পরিবার। ঘরে এক কোণেই খাওয়ার জায়গা, আরেক পাশে শোয়ার। স্বভাবতই ঘরে টিকতে পারেন না মিম। বস্তিময় ঘুরে বেড়ান, মাঝেমধ্যে পথেও চলে যান। তাঁর মা জ্যোৎস্না বলেন, শরীরের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। কিছু চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় এখন সে কিছুটা সুস্থ। সরকারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে কিছু ওষুধ বিনা মূল্যে পান, বাকিটা কিনতে হয়। করোনার কারণে জীবিকা হারিয়ে এই অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
করোনার আগে মিমের মা কয়েক বাড়িতে কাজ করতেন, বাবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। করোনা আসায় দুজনেরই কাজ কমে গেছে। জ্যোৎস্না বলেন, ‘আগে যেখানে আমাদের মাসিক পারিবারিক আয় ছিল সাত-আট হাজার টাকা, তা এখন এসে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার টাকায়। মিমের চিকিৎসা এখন বিরাট বাহুল্য। আবার, ওষুধ ছাড়া রাখাও যায় না মিমকে। ওষুধ বন্ধ হলে আরও অস্থির হয়, ঘুমাতে চায় না। বাড়ির মানুষদের মারধর করে, বাইরে এসে প্রতিবেশী শিশুদেরও মারে।’